ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বাংলাদেশে স্বজনদের কাছে যাওয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা হোটেল কোয়ারেন্টাইনে থাকতে চায় না।
অপরদিকে ভিজিট ভিসায় আসতে ইচ্ছুক যাত্রীদের বাংলাদেশ দূতাবাসের বিশেষ অনুমতির (বিএমইটি) পরামর্শকে অযৌক্তিক দাবি করেছেন কমিউনিটি নেতারা।
কোভিড-১৯ এর নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকার পরও পবিত্র ঈদ উপলক্ষে স্বজনদের কাছে ছুটে যাওয়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রবাসী বাংলাদেশিরা হোটেল কোয়ারেন্টাইনে থাকতে ইচ্ছুক নন।
তারা জানান, প্রয়োজনে হোম করোয়ারেন্টাইন করা হোক। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন দিয়ে ৩ দিনে বাড়তি খরচের মুখোমুখি হতে চান তারা।
এনআরবি অ্যাসোসিয়েশনের অর্গানাইজিং সেক্রেটারি মো. ইয়াছিন চৌধুরী বলেন, প্রবাসীরা জানান তারা এখান থেকে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে দেশে যাচ্ছেন। সেই ক্ষেত্রে তাদের যদি বাড়তি খরচ বহন করতে হয় অনেক প্রবাসীদের জন্য কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শওকত মোল্লা বলেন, সরকার যেন একটা ডাবাবেজ করে তারা যেন বাইরে না যায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকে।
এদিকে ভিজিট ভিসায় আমিরাতগামী যাত্রীদের বাংলাদেশ দূতাবাস, বিশেষ অনুমতি বা বিএমইটি করার পরামর্শ দেওয়ায় হয়রানি ও জটিলতা বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
ইউএইয়ের বাংলাদেশ কমিউনিটি নেতা মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এ পদ্ধতিতে ভিজিটধারীরা দালালদের চক্রে পড়াসহ নানা ধরনের হ;য়রানির শি;কার হতে পারেন।
বিএমইটির ব্যাপারটা হচ্ছে যে, আসলেই এ জিনিসটা পুরোটাই আমাদের (প্রবাসী) হয়রানি করার চক্রান্ত, তারা নির্যাতনের শিকার হবে, আর তারা যে নির্যাতনের শিকার হবে সেটা তো কল্পনা করা যায় না।
ইউএইয়ের বাংলাদেশ কমিউনিটি নেতা নেতা হাজী শফিকুল ইসলাম বলেন, বিএমইটি নামটি শোনার পরে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিজিট ভিসায় আসতে ইচ্ছুক মানুষগুলোর মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।

বিএমইটি মানে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা আসন্ন ঈদের আগে জটিলতা নিরসনের আহ্বান জানিয়েছেন।
You can follow @Mdhosan94253580.
Tip: mention @twtextapp on a Twitter thread with the keyword “unroll” to get a link to it.

Latest Threads Unrolled: