পৃথিবীর যে কোন সমাজ পূর্ববঙ্গের হিন্দুদের মত নির্যাতনের শিকার হলে তীব্র প্রতিবাদ হত,সোচ্চার হত।
প্রায় সমস্ত গনহত্যা বা নির্যাতনের কিন্তু সোচ্চারে প্রতিবাদ হয় বা হয়েছে -ইহুদি গনহত্যা,সোভিয়েত জমানায় অঙ্গরাজ্যগুলোতে গনহত্যা।
১৯১৫-১৬ সালে তুর্কিতে মু.সলিমদের হাতে আর্মেনিয়ান খ্রীষ্টানদের গনহত্যা,হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায় কৃষ্ণকায়দের ওপর শ্বেতকায়দের অত্যাচার।
হয়নি কেবল পূর্ববঙ্গের হিন্দুদের বেলায় আর এটা ভূলিয়ে দেবার জন্য যথাসম্ভব করা প্রয়োজন তা করেছে বামেরা।
অথচ কি আশ্চর্য দেখুন পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি হিন্দুদের মধ্যে যারা কলা,বিজ্ঞান,সাহিত্য,চিকিৎসা,আইন, সঙ্গীত,খেলাধূলা,রাজনীতি ইত্যাদি ক্ষেত্রে খ্যাতি অর্জন করেছেন তাদের অন্তত পক্ষে ৬০% পূর্ববঙ্গের।
আজ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের আটজন মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে পাঁচজন পূর্ববঙ্গীয় -প্রফুল্ল ঘোষ,প্রফুল্ল সেন,সিদ্ধার্থশংকর রায়,জ্যোতি বসু ও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।বামদলগুলোর সিংহভাগ নেতা-কর্মী প্রমোদ দাশগুপ্ত,শৈলেন দাশগুপ্ত,প্রশান্ত শূর, সুভাষ চক্রবর্তী প্রমুখেরা পূর্ববঙ্গীয়।
বাজার ঘুরলে দেখবেন উদ্বাস্তু হিন্দুদের নিয়ে শয়ে শয়ে বই আছে ,লিখেছেন অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়,বুদ্ধদেব বসু,মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়,সমরেশ বসু,সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ইত্যাদিরা।
এই বইগুলোর কিন্তু একটিই সুর-পূর্ববঙ্গের হিন্দুদের কি অবর্ননীয় দূর্দশায় জীবন কাটাতে হয়েছে তার বর্ননা।কোথাও বলা নেই যে কেন তাঁদের আসতে হয়েছিল-বলা নেই অত্যাচার আর নির্যাতনের কথাএই চেপে যাওয়ার ব্যাপারে বদমাইশিতে সম্ভবত শ্রেষ্ঠত্ব করেছিলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ।
আদন্ত্য ধান্ধাবাজ একটি মানুষ যিনি সরকারের বদান্যতায় আজ নামজাদা,নির্লজ্জ প্রচেষ্টা করে এসেছেন হিন্দুদের ছোট করে অার মুসলিম দের বড়ো পরে দেখতে।"দেশ" পত্রিকায় বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর সাহিত্যচর্চা সম্বন্ধে সমালোচনা করে লেখা শুরু করেছিলেন।যেটি জনরোষের কারণে বন্ধ করতে হয়
প্রায় দুই বছরের ব্যবধানে তিনি কৃত্তিবাস পত্রিকায় সেই সমালোচনা কোনরকমে দায়সারা ভাবে শেষ করেন। কিন্তু ধার তখনও কমেনি। কিছু উদাহরণ দিচ্ছি যার থেকে তার সমালোচনার ধার অার যুক্তি ভালোভাবেই স্পষ্ট হয়ে উঠবে।
১)".... বঙ্কিমচন্দ্র তার একটি উপন্যাসেও আমাকে তৃপ্ত করতে পারলেন না।তার প্রত্যেকটি কাহিনী কৃত্রিম অার উদ্ভট- যেন মানস চক্ষে তিনি হিন্দি সিনেমা নামক একটা জিনিসের কথা জানতে পেরে তারই কাহিনী বানিয়ে গেছেন।"(দেশ)
২) উপন্যাসে তিনি ঘোরতর সনাতন পন্থী। বিদ্যাসাগর মতোই bramha সমাজকেও যে তিনি মনপ্রাণ দিয়ে অপছন্দ করতেন টা সুবিদিত। বহুবিবাহের নির্লজ্জ সমর্থন করেছেন বঙ্কিমচন্দ্র তার "দেবী চৌধুরানী" এবং "সীতারাম" উপন্যাসে। (কৃত্তিবাস)
বলা হয় মৃত্যুর পর কেউ নাকি শত্রু থাকেনা। মৃত্যুর পর করো প্রতি বিদ্বেষ রাখতে নেই। তাই কোনো জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত অকৃত্রিম ধান্দাবাজি বজায় রাখা সত্বেও মৃত্যুর পর তার আত্মার শান্তি কামনা করবো কিন্তু অসন্মান না করলেও, মৃত ব্যাক্তির বিদেহী আত্মার প্রতি প্রশ্ন তো রাখা যেতেই পারে!
তাই তাঁর আত্মার কাছে একটাই প্রশ্ন করবো," আচ্ছা সুনীল বাবু,ফরিদপুরের মাদারিপুর থেকে বিতাড়িত হওয়ার কাহিনীটি যেনো কি ছিল??"

লেখক- সৌভিক রাতুল বোস এবং সায়ন্তিকা সান্যাল
You can follow @Nimboo_Namak.
Tip: mention @twtextapp on a Twitter thread with the keyword “unroll” to get a link to it.

Latest Threads Unrolled: